জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম
শাহজাহান কবির খান: জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
জৈন্তাপুর উপজেলার বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্রদের নিয়ে গঠিত বাউরভাগ ছাত্র কল্যান পরিষদ।
২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনেই অভিযোগ করা হয়েছে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রাক্তন ছাত্র মোফিজুল ইসলাম শেবুল। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুথানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধারাবাহিতায় ২১শে আগস্ট বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও স্থানীয় ছাত্র কল্যান পরিষদ সহ এলাকার সচেতন ছাত্র-জনতা তার
বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে জানান তিনি
নিজপাট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত রয়েছেন। বিদ্যালয় ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম-লিয়াকত আলীর প্রভাব খাটিয়ে তিনি স্কুলে অনিয়ম চালিয়ে যান। বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরজমিনে উপস্থিত হয়ে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক ভাবে অপসারণ নিশ্চিত করেন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিকাশ চন্দ্র পাল (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির-কে দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও দূর্নীতি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদত্যাগের দাবী'র বিষয়ে উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষকদের নিয়ে ১৭ পরগনার ময়-মুরব্বিয়ানগন একটি যৌথ সভা আহবান করেন। সভায় এলাকা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়ে সমন্বয় একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে ১৭ পরগনার নিকট সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা আহবান জানান। বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিশ্চিত হওয়ার পূর্বে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি এবং দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল গত ২৫ শে সেপ্টেম্বর পুনরায় কর্মস্থলে তিনি যোগদান করেন। এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এমন কি জৈন্তিয়া ১৭ পরগনার সালিশ সমন্বয় কমিটি এবং উপজেলা প্রশাসন অবগত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তিনি বিদ্যালয়-কে আওয়ামী লীগের দলীয় অফিস হিসাবে ব্যবহার করা, বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দূর্নীতি কাজের সাথে জড়িত থাকা, শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও গ্রুপিং সৃষ্টি করা, উন্নয়নের নামে স্কুলের বিভিন্ন বরাদ্ধের টাকা লুটপাট করা , ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে রাজনৈতিক মতাদর্শ চাপিয়ে দেয়া, আন্দোলনরত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র/ছাত্রী এবং এলাকার অভিভাবকদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হুমকি প্রদান করা হত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে বাউরভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিলের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয় এবং প্রশাসনিক ও আইনগত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত আব্দুল জলিল-কে স্কুলে যোগদান করা থেকে বিরত থাকার আহবান করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী আলহাজ্ব হোসাইন আহমদ, নুর উদ্দিন কমান্ডার, ইউপি সদস্য হারুন উর রশিদ, সাবেক ইউপি সদস্য মামুন রশিদ, যুবনেতা কামাল আহমদ, আলা উদ্দিন, নাছির উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্রনেতা রহমত মারুফ, যুবনেতা শাহীন আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, রহিম আহমেদ শাওন, আব্দুল্লাহ আল মাহিন, বোরহান উদ্দিন, কামরুল ইসলাম শিমুল, নূরুল আমিন,শাকিল আহমদ, বাহার আহমেদ ও দিলদার হোসেন প্রমুখ।
Comments
Post a Comment