শাহজাহান কবির খান, জৈন্তা এক্সপ্রেসঃঃ সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে কৃষক-কৃষানিদের অংশগ্রহণে বারি গোল মরিচ-১ এর আধুনিক উৎপাদন ও কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের উন্মুক্ত মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাহ মো. লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঝুটন চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজারের আকবরপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ জুলফিকার আলী ফিরোজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এইচ এম বুরহান উদ্দিন ভূইয়া ও ফয়সাল আহমদ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ৩০ বছর পূর্বে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রথমে উদ্ভাবিত হয় জৈন্তা গোল মরিচ। বর্তমানে এটি বারি গোল মরিচ-১ নামে উন্নত জাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গোল মরিচ মসলা হিসেবে ব্যবহার হলেও গোল মরিচের রয়েছে বহু ঔষধি গুনাগুন। জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র গোল মরিচের চারাসহ চাষাবাদ সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করে আসছে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় এখন অনেকে বাণিজ্যিকভাবে গোল মরিচের ব্যাপক চাষাবাদ করছেন। গোল মরিচের প্রচুর চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারেও রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে গোল মরিচ চাষ করে দেশের চাহিদা পূরণ করে বহির্বিশ্বে প্রেরণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা থেকে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে। সাধারণত গোল মরিচ চাষাবাদে অন্য কোনো জমির প্রয়োজন পড়ে না। আপনার বাড়ি বা বাগানের গাছের সঙ্গে চারা রোপণ করে দিলেই ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। এক একটি গাছ সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ১০০ বছর কিংবা ১২০ বছর পর্যন্ত ফলন দেয়। আমরা যে কেউ বাড়ির ফলজ-বনজ গাছে গোল মরিচের চারা লাগাতে পারি। এতে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
Comments
Post a Comment