Skip to main content

জৈন্তাপুরে বন্যার পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছেন। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউপির বিভিন্ন গ্রাম।

শাহজাহান কবির খানঃ মঙ্গলবার (১৭ মে) সরেজমিনে দরবস্ত ফতেপুর চিকনাগুল ও জৈন্তাপুর ইউপি ঘুরে নাজমুল ইসলাম, হাফিজ, রফিক আহমদ, বুরহান উদ্দিন, করিম মিয়া, সুলেমান মিয়াসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবারের বন্যা। নিজপাট ইউপির বিভিন্ন গ্রামে পানি কমলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল জৈন্তাপুর ইউপি'র চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, খারুবিল, লক্ষিপুর, বিড়াখাই, হাটিরগ্রাম, ভিত্রিখেল, ববরবন্দ, গাতিগ্রাম, নিজপাট ইউপির ফুলবাড়ী, ডিবির হাওর, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, দিগারাইল, চারিকাটা থুবাং, রামপ্রসাদ, নয়াগাতি, মাদার মোকাম, দরবস্ত ইউপি'র গর্দনা, কাঞ্জর, চাল্লাইন, সেনগ্রাম, মুটগুঞ্জা, নয়াবাজার, ফরফরা, তেলীজুর, শুকইনপুর, লামা ডেমা, ছাতারখাই, মানিকপাড়া, মহাইল, লামা মহাইল, ফতেপুর ইউপির হেমু, হাউদপাড়া, বালিপাড়া, জুহাইরটুক, মাঝেরটুক, লামা শ্যামপুর ও চিকনাগুল ইউপির কহারগড়সহ ৬টি ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।


এদিকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে উঁচু স্থানে গৃহপালিত পশু গরু-মহিষ নিয়ে ছুটছেন বন্যা কবলিত গ্রামবাসীরা। সমস্যা সমাধানে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব অঞ্চলে অবস্থিত সব প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিগণ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ও ইউপি চেয়ারম্যানরা জানান, আমরা বন্যায় প্লাবিত এলাকা গুলোর খোঁজ খরব রাখছি এবং বন্যা কবলিত পরিবারদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছি। এছাড়া বন্যাকবলিতদের সর্তকবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। যেকোনো দুর্ঘটনার খবর এলে তাদেরকে উদ্ধারে জরুরি নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে

Comments

Popular posts from this blog

জৈন্তাপুরে গ্রামীণ ব্যাংক এরিয়া অফিস কর্তৃক গ্রাহকদের মধ্যে বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন

শাহজাহান কবির খান জৈন্তা এক্সপ্রেস: গ্রামীণ ব্যাংক সিলেট জোনাল অফিস সিলেটের বিভিন্ন শাখায় তাদের গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে চলিত বছরে ৫২ লক্ষ বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচি গ্রহন করেছে। "বনজ-ফলজ ঔষধি গাছ রোপণ করবো কয়েক কোটি, দেশের বায়ু, দেশের মাটি করবো মোরা খাঁটি"  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীন ব্যাংক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যােগ গ্রহন করে। বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচির অংশ হিসাবে জৈন্তাপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার ১০টি শাখায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ শত চারা এবং ফতেপুর (হরিপুর), নিজপাট ও দরবস্ত গ্রামীণ ব্যাংক শাখা সহ অন্যান্য শাখায় পৃথক ভাবে এসব চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি'টি শাখায় ১১ হাজার ৮ শত ৭০ টি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।  গত ২০ জুন মঙ্গলবার গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ে গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে পৃথক অনুষ্ঠানে এসব চারা বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ঋণ কর্মসূচি মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে য...

বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ জৈন্তাপুরে

শাহজাহান কবির খানঃঃ বুধবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে কৃষি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামীমা আক্তার। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আব্দুল মান্নান। আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক/কৃষাণী এবং কৃষি অফিসারগন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ভারতের হাই কমিশনার

ভারতের আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি  -----হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান  জৈন্তাপুর থেকে শাহজাহান কবির খানঃঃ ভারতের নিউ দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।  গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ ...