ভারতের আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি
-----হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান
জৈন্তাপুর থেকে শাহজাহান কবির খানঃঃ ভারতের নিউ দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।
গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ দিল্লী হাই কমিশন'র কর্মাসিয়াল মিনিষ্টার ড. একে এম আতিকুল হক , তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া, ৪৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেটের উপ-কমিশনার শামীমুল আলম , সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মোঃ আবু সুফিয়ান, দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি'র সভাপতি ও এফবিসিসিআই'র পরিচালক তাহমিন আহমদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-
বাণিজ্য, পযর্টন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত মিশন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক ভাবে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সাথে আমাদের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন,সিলেট-ডাউকি-শিলং-হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করার উদ্যাগ গ্রহন করা হয়েছে। আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা তামাবিল,ভোলাগঞ্জ, সুতারকান্দি স্থলবন্দেরর বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান। বিভিন্ন পন্য ও কৃষি যন্ত্রপাতি আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্য গুলিতে রপ্তানীর বিষয়ে হাই কমিশনের সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ও স্বাভাবিক রাখতে এবং সরকারী রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সবক'ঢি স্থলবন্দর-কে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরী করে দেয়া হয়েছে। তামাবিল স্থলবন্দরের অবকাঠােমাগত উন্নয়ন ও ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানীকৃত মালামাল মজুদ রাখা ও পরিবহন সুবিধায় অবকাঠােমাগত উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান।
অনুষ্ঠানে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি'র সভাপতি ও এফবিসিসিআই'র পরিচালক তাহমিন আহমদ বলেন, আমাদের প্রতিবেশ দেশ ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তিনি ভারত মিশনের সহায়তা কামনা করেন। সিলেটের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশ এবং ভারতীয় পর্যটক আগমনে আমাদের আর কাজ করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন । তিনি শিলচর সহ বরাক ভ্যালী'র মানুষের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহবান জানান। ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসাম সহ সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলির সাথে রপ্তানি মূখি ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়াতে হবে বলে অভিমত পোষন করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার গোয়াইনঘাট (সার্কেল) প্রবাস কুমার সিংহ গেয়াইনঘাট থানার অফিসার (ইনচার্জ) কে এম নজরুল, তামাবিল সোনালী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জাতীয় গোয়োন্দা সংস্থা এনএসআই'র সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু সহ-সভাপতি হাজী মো: জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার পরিচালক সারোয়ার হোসেন (ছেদু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক
ওমর ফারুক,কার্যনিবার্হী কমিটির সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি), আব্দুল করিম রাসেল, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম, তামাবিল ইমিগ্রেশন (ইনচার্জ) এসআই রনু মিয়া, ব্যবসায়ী সৈয়দ শামীম আহমদ। এছাড়া তামাবিল স্থলবন্দরের অন্যান্য স্টেক হোল্ডার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Comments
Post a Comment