Skip to main content

আলোকিত মানুষ ও সমৃদ্ধশালী জৈন্তাপুর বির্নিমানে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু‘র ভূমিকা প্রশংসতি

মো: শাহজাহান কবির খান জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে  : যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কমিউনিটি নেতা আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু অবহেলিত পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক উন্নয়নে তিনি আলোকিত মানুষ ও সমৃদ্ধশালী জৈন্তা


পুর বির্নিমানে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসায় তারঁ ব্যাপক অবদান রয়েছে। সমাজের অসহায় হতদারিদ্র মানুষের কল্যাণে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করছেন। একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি হিসাবে পুরো উপজেলা জুড়ে রয়েছে তারঁ সুনাম। সম্প্রতি জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপের মাধ্যামে এই উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। জনগনের প্রয়োজনে ও সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জৈন্তাপুরে আগামী উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে তিনি অংশ গ্রহন করবেন জানাগেছে।

জন্ম: আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু-১৯৬২ সালের ২ জানুয়ারী জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্তে জন্ম গ্রহন করেন। তারঁ পিতা ডা: আব্দুর রশিদ চৌধুরী, মাতা রাবেয়া খাতুন। ৫ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি ৩য় । 

শিক্ষা জীবন: শিক্ষা জীবন শুরু হয় দরবস্ত পাকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৭৮ সালে সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুল থেকে এস,এস,সি পাশ করেন। ১৯৮০ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে এইচ,এস,সি পাশ করেন। একই কলেজ থেকে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা সম্পন্ন করার আগেই তিনি ১৯৮৪ সালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ-এ  ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন। 

রাজনৈতিক জীবন: কলেজ জীবনে তিনি সক্রিয় ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৮৩-৮৪ সালে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জৈন্তিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্র পরিষদ সহ বাংলাদেশে অবস্থান কালে বিভিন্ন সামাজি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান । সেখানে অবস্থন করে তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে যান। ১৯৯৪ সালে আমেরিকায় জালালাবাদ এনএফ সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও পরবর্তী সময়ে তিনি সহ-সভাপতি নিবার্চিত হন। 

শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন: আব্দুল গফাফার চৌধুরী খসরু বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আজীবন দাতা সদস্য হিসাবে হয়েছেন। তিনি দরবস্ত খাজার মোকাম উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সেন্ট্রাল জৈন্তা হাইস্কুলের দাতা সদস্য। তিনি নিউইয়র্কে ব্রংকস-অবস্থিত বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সেখানকার রোটারী ক্লাব অব সেন্ট্রাল ব্রংকস নিউইয়র্কে-এর প্রেসিডেন্ট। তিনিই একমাত্র বাঙ্গালি ২০১১ সালে কমিউনিটি বোর্ড-নাইন-সিটি অব নিউইয়র্কে-এর মেম্বার নিবার্চিত হয়েছিলেন। 

পিছিয়ে পড়া জৈন্তাপুর উপজেলায় তার অবদান: জৈন্তাপুর উপজেলার উন্নয়নে তারঁ অনেকটা অবদান রয়েছে। তিনি দেশে আসলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজে জড়িত থাকেন। তিনি ইমরান আহমদ মহিলা কলেজ, জৈন্তাপুর তৈয়ব আলী ডিগ্রী কলেজ, জৈন্তাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রমজান রুপজান একাডেমি, বাগেরখাল, হেমু তিনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, হরিপুর বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়, আমীনা হেলালী টেকনিক্যাল স্কুল, চারিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়, মাওলানা আব্দুল লতিফ জুলেখা গার্লস হাইস্কুল, পাকড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিছনাটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরবস্ত সিকন্দর আলী  মেমোরিয়াল কিন্ডার গাটেন স্কুল, দারুল হাদিস মদিনাতুল উলুম খরিুলহাট মাদ্রাসা, দারুস সুন্নাহ  ছাত্তারখাই ক্বওমী মাদ্রাসা, দারুল কুরআন খাজার মোকাম মাদ্রাসা, খরিল নেজামুল উলুম চাক্তা ফাযিল মাদ্রাসা, দরবস্ত জামেয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসা, মাদরাসতুল উলুম হরিপুর মাদ্রাসা, বাগেরখাল কামরুল ইসলাম মুহিউসসুন্নাহ মাদ্রাসা, বনপাড়া খেড়িগুল  মাদানিয়া মাদ্রাসা, জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম লামনীগ্রাম মাদ্রাসা, আশরাফুল উলুম নিজপাট মাদ্রাসা, নুরে মদিনা বিরাইমারা মাদ্রাসা, মাঈনুল ইসলাম লামা শ্যামপুর মাদ্রাসা, দারুল উলুম হেমু মাদ্রাসা, মাদরাসাতুল উলুম হরিপুর বাজার মাদ্রাসা, রওজাতুল উসলাম চাক্তা ক্বওমী মাদ্রাসায় তারঁ সহযোগিতা রয়েছে। 

তিনি ব্যক্তিগত ও পরিবারের অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অনেক মসজিদ নিমার্ণ করে দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য চারিকাটা বনপাড়া যাদুবাড়ি জামে মসজিদ,চারিকাটা বড়গুল জামে মসজিদ, চারিকাটা কুমারপাড়া জামে মসজিদ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার আর অনেক এলাকায় মসজিদ নিমার্ণ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী খসরু বিবাহিত, দুই পুত্র এক কন্যা সন্তানের জনক। তারঁ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সমাজ কল্যাণ মুলক কাজে জড়িত রয়েছেন।

Comments

Popular posts from this blog

জৈন্তাপুরে গ্রামীণ ব্যাংক এরিয়া অফিস কর্তৃক গ্রাহকদের মধ্যে বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন

শাহজাহান কবির খান জৈন্তা এক্সপ্রেস: গ্রামীণ ব্যাংক সিলেট জোনাল অফিস সিলেটের বিভিন্ন শাখায় তাদের গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে চলিত বছরে ৫২ লক্ষ বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচি গ্রহন করেছে। "বনজ-ফলজ ঔষধি গাছ রোপণ করবো কয়েক কোটি, দেশের বায়ু, দেশের মাটি করবো মোরা খাঁটি"  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীন ব্যাংক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যােগ গ্রহন করে। বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচির অংশ হিসাবে জৈন্তাপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার ১০টি শাখায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ শত চারা এবং ফতেপুর (হরিপুর), নিজপাট ও দরবস্ত গ্রামীণ ব্যাংক শাখা সহ অন্যান্য শাখায় পৃথক ভাবে এসব চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি'টি শাখায় ১১ হাজার ৮ শত ৭০ টি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।  গত ২০ জুন মঙ্গলবার গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ে গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে পৃথক অনুষ্ঠানে এসব চারা বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ঋণ কর্মসূচি মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে য...

বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ জৈন্তাপুরে

শাহজাহান কবির খানঃঃ বুধবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে কৃষি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামীমা আক্তার। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আব্দুল মান্নান। আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক/কৃষাণী এবং কৃষি অফিসারগন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ভারতের হাই কমিশনার

ভারতের আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি  -----হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান  জৈন্তাপুর থেকে শাহজাহান কবির খানঃঃ ভারতের নিউ দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।  গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ ...