Skip to main content

মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক


শাহজাহান কবির খান জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে
:: মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত জৈন্তাপুর উপজেলার ভূমি ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত মুজিব নগরের ঘর পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম.কাজী এমদাদুল ইসলাম১ ২ জুলাই সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে নির্মিত ২৩২টি ঘর পরিদর্শন করেন। এসময় উপকারভোগী ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। উপকারভোগী হালিমা বেগম, বেগম বিবি এবং জুনেদ আহমেদ জেলা প্রশাসককে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার প্রতিটি টিনশেডের পাকা ঘর মজবুত ও সুন্দর ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এসব ঘর ও জমি পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে শান্তিতে বসবাস করছি। জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারুক আহমদ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন, মেম্বার হুমায়ুন কবির খান, আব্দুল হালিমের উপস্থিতিতে উপকারভোগীদের অভিযোগ আছে কি না জানতে চান। 


পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক এম.কাজী এমদাদুল ইসলাম উপকারভোগীদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব ঘর আপনারা সব সময় সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। কোন ঘরের নির্মাণ কাজে ত্রুটি বিচ্ছুতি থাকলে আমরা কাজ করে দিব সবাই এখানে এক সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সব সময় থাকবেন। পর্যায়ক্রমে মসজিদ, স্কুল, রাস্তা, পানি, বিদ্যুৎ, পুকুর সংস্কার সহ আপনাদের জীবন মানের উন্নয়নে যা দরকার সরকারের পক্ষ হতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক বলেন, জৈন্তাপুরে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সরকারি অর্থায়নে ভূমি ও গৃহহীনদের মধ্যে ২৩২টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। কিছু দিনের বাকী ৯৮টি ঘর বাকী উপকারভোগীদের মধ্যে হস্তান্তার করা হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে। উপকারভোগীরা বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। 


ডিপ টিউবওয়েলের পাশাপাশি একটি পুকুর সংস্কার করা হবে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ হতে তাদের উন্নত জীবন যাপনের জন্য আমরা সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। মুজিববর্ষে কেউ গৃহ ও ভূমিহীন থাকবে না’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ঘোষণা বাস্তবায়নে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এরইমধ্যে ২ শতাংশ জমির সঙ্গে ঘর পেয়েছেন সারা দেশের ভূমি ও গৃহহীন প্রায় ৭০ হাজার পরিবার।

Comments

Popular posts from this blog

জৈন্তাপুরে গ্রামীণ ব্যাংক এরিয়া অফিস কর্তৃক গ্রাহকদের মধ্যে বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন

শাহজাহান কবির খান জৈন্তা এক্সপ্রেস: গ্রামীণ ব্যাংক সিলেট জোনাল অফিস সিলেটের বিভিন্ন শাখায় তাদের গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে চলিত বছরে ৫২ লক্ষ বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচি গ্রহন করেছে। "বনজ-ফলজ ঔষধি গাছ রোপণ করবো কয়েক কোটি, দেশের বায়ু, দেশের মাটি করবো মোরা খাঁটি"  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীন ব্যাংক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যােগ গ্রহন করে। বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচির অংশ হিসাবে জৈন্তাপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার ১০টি শাখায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ শত চারা এবং ফতেপুর (হরিপুর), নিজপাট ও দরবস্ত গ্রামীণ ব্যাংক শাখা সহ অন্যান্য শাখায় পৃথক ভাবে এসব চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি'টি শাখায় ১১ হাজার ৮ শত ৭০ টি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।  গত ২০ জুন মঙ্গলবার গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ে গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে পৃথক অনুষ্ঠানে এসব চারা বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ঋণ কর্মসূচি মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে য...

বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ জৈন্তাপুরে

শাহজাহান কবির খানঃঃ বুধবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে কৃষি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামীমা আক্তার। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আব্দুল মান্নান। আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক/কৃষাণী এবং কৃষি অফিসারগন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ভারতের হাই কমিশনার

ভারতের আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি  -----হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান  জৈন্তাপুর থেকে শাহজাহান কবির খানঃঃ ভারতের নিউ দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।  গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ ...