Skip to main content

জৈন্তিয়া জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগে ফুসে উঠেছে জনতা

জৈন্তা এক্সপ্রেসঃঃ জৈন্তাপুর মহিলা মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্ছার এলাকাবাসী। সাবেক পরিচালকের সেচ্ছাচারিতায় মাদ্রাসা এখন প্রায় ধংসের পথে। মাদ্রাসায় সার্বিক শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে দুইটি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের একাত্বতা প্রকাশ।


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জৈন্তিয়া জামিয়া ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠাকালিন সময়ে এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা থাকলেও হঠাৎ করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি হাসিলের লক্ষ্যে তথাকতি পরিচালক এডভোকেট আব্দুল আহাদ মাদ্রাসার নামে ব্যবসার ফন্দি শুরু করেন। শিক্ষানুরাগী প্রতিষ্ঠাকালিক ব্যাক্তিদের সরিয়ে নিজের আত্মীয় স্বজনদের কমিটির সদস্য করে শুরু হয় মাদ্রাসার নামে বাণিজ্য। স্থানীয় বিশিষ্ট্য ব্যাক্তিদের দেওয়া জমি আর একজন প্রবাসীর টাকায় গড়ে উঠা ভবনে মাদ্রাসার পাঠদান চলে আব্দুল আহাদের একক কর্তৃত্বে। কমিটিতে স্থান নেই দাতা কিংবা প্রতিষ্ঠাকালিন কোন সদস্যের। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময় অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় এরই মধ্যে বেশ কয়েক জন সুপারকেও রদবদল করেছে তিনি। 

মানবিক কারনে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ফুসে উঠেন এলাকার শিক্ষানুরাগী সাধারণ মানুষ। মহিলা মাদ্রাসা নিয়ে এডভোকেট আব্দু আহাদের বাণিজ্য ও বিভিন্ন অনিয়ম-দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিলে গত ১৬ সেপ্টম্বর তিনি সরেজমিন তদন্ত করেন এবং ৫ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদেনে উল্লেখ করেন, মূলত মাদ্রাসার হিসাবটি সুপার ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটা কখনো মানা হয়নি। উক্ত হিসাবে আগত সংগৃহিত তহবিলের আয় ব্যয় ও আগত নগদ টাকার হিসাব বিধি মোতাবেক পরিচালিত হয় নাই বা কোন রেকর্ড মেইনটেইন করা হয় নাই। সংগঠনের একক কর্তা ব্যাক্তি হিসাবে তার নিকট আত্মীয়করণের মাধ্যমে সংগঠনটি দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন যেহেতু মাদ্রাসাটি তার নিজ নামীয় ভূমির উপর প্রতিষ্টিত কাজেই সংগঠনের মাধ্যমে পরিচালিত বা সংগঠনের মাদ্রাসা বলে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে দান-অনুদান ও নগদ টাকা গ্রহন করে এলাকাবাসীর সম্পৃক্ততা ছাড়াই নিবন্ধনহীন এই সংগঠনের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এলকাবাসী সহ সর্বসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। 

সর্ব শেষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার’র সাথে এলাকাবাসী বৈঠক করলে তিনি মাদ্রাসার পাঠদানের কথা বিবেচনা করে বর্তমান সুপার আব্দুল গফফার কে সাময়িক ছুটি প্রদান করেন। এবং সহকারী সুপার হিসেবে একজন শিক্ষককে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। একই সাথে সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গঠিত কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতি আহবান জানান। 




এরই অংশ হিসেবে ২১ নভেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আখলাকুল আম্বিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য হানিফ আহমদের পরিচালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, আব্দুস শুকুর, হায়দার আলী, দেলোয়ার আহমদ মাসুক, কবির আহমদ, আলহাজ্ব জহির উদ্দিন, আব্দুর রহমান,ইউ/পি সদস্য ইসমাইল আলী, আব্দুস শুকুর হরুহুনা, আলাউদ্দিন আলাই, পারভেজ আহমদ, জহিরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, মুহিব আলী, আব্দুল মালিক পাখি, আলতাফুর রহমান, হোসনে আহমদ, আবুল হোসেন, সাব্বির আহমদ, আব্দুল করিম, ফিরুজ আলী, বতাই মিয়া, আব্দুল হান্নান, মাসুক আহমদ, মাসুদ আহমদ, আবুল হাসিম, তালহা আব্দুল্লাহ বাবু, তাফসিরুল ইসলাম পলাশ, মোস্তাক আহমদ, মনজুর আহমদ, আজিজুর রহমান, আব্দুল হান্নান প্রমুখ।    

Comments

Popular posts from this blog

জৈন্তাপুরে গ্রামীণ ব্যাংক এরিয়া অফিস কর্তৃক গ্রাহকদের মধ্যে বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন

শাহজাহান কবির খান জৈন্তা এক্সপ্রেস: গ্রামীণ ব্যাংক সিলেট জোনাল অফিস সিলেটের বিভিন্ন শাখায় তাদের গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে চলিত বছরে ৫২ লক্ষ বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচি গ্রহন করেছে। "বনজ-ফলজ ঔষধি গাছ রোপণ করবো কয়েক কোটি, দেশের বায়ু, দেশের মাটি করবো মোরা খাঁটি"  এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গ্রামীন ব্যাংক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যােগ গ্রহন করে। বৃক্ষের চারা বিতরণ কর্মসুচির অংশ হিসাবে জৈন্তাপুর এরিয়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাট উপজেলার ১০টি শাখায় ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৯ শত চারা এবং ফতেপুর (হরিপুর), নিজপাট ও দরবস্ত গ্রামীণ ব্যাংক শাখা সহ অন্যান্য শাখায় পৃথক ভাবে এসব চারা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি'টি শাখায় ১১ হাজার ৮ শত ৭০ টি করে চারা বিতরণ করা হচ্ছে।  গত ২০ জুন মঙ্গলবার গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন কার্যালয়ে গ্রাহক সদস্যদের মধ্যে পৃথক অনুষ্ঠানে এসব চারা বিতরণ করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক শুধু ঋণ কর্মসূচি মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে য...

বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ জৈন্তাপুরে

শাহজাহান কবির খানঃঃ বুধবার সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে কৃষি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিপামনি দেবী, সভায় সভাপতিত্বে ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শামীমা আক্তার। বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি জৈন্তাপুর উপজেলা আব্দুল মান্নান। আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষক/কৃষাণী এবং কৃষি অফিসারগন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

তামাবিল স্থলবন্দরে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন ভারতের হাই কমিশনার

ভারতের আসাম সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা নিরলস ভাবে কাজ করছি  -----হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান  জৈন্তাপুর থেকে শাহজাহান কবির খানঃঃ ভারতের নিউ দিল্লী'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশন সহ আমাদের সবক'টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।  বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।  গত ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন ও তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান।  মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি'তে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিন, নিউ ...